ইনানীতে নামে রেঞ্জ অফিস থাকলেও কাজে নেই ? রেঞ্জের জালিয়া পালং বনবিট ও রাজাপালং বনবিট এলাকায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালি পাচার অব্যাহত থাকলেও রেঞ্জের কর্তাবাবুরা রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়।
সম্প্রতি সরকারি বনভুমির পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মিনিটের জন্যও পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালি পাচার বন্ধ হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত, আর কত লাশ পড়লে পাহাড় কাটা বন্ধ হবে? শুধু তাই নয়, পাহাড় কাটার সাথে স্থানীয় বন বিভাগ জড়িত না থাকলে পাহাড় কাটাতো দুরের কথা, পাহাড়ের পাশে যাওয়ারও সুযোগ নেই।
রোববার সকালে রজাপালং বনবিট ও জালিয়াপালং বনবিটের জুম্মা পাড়া, পাইন্যাশিয়া ও কাছিম মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেন, জালিয়া পালং বিট কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল ও হেডম্যান জাফরের সহযোগিতায় পাইন্যাশিয়া এলাকার কামাল মাষ্টারের ছেলে পাহাড় ধ্বংসকারীদের অন্যতম গডফাদার জয়নালের নেতৃত্বে রফিক আহম্মদের ছেলে খাইরুল আমিন, মৃত নাজির হোসাইনের ছেলে হাঙ্গামা বেলাল, রশিদ আহম্মদের ছেলে জাহাঙ্গীর, জিয়াবুল হক ও জালিয়া পালং কাছিম মার্কেট এলাকার দুবাই কাছিম এর ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা নামধারী হেলাল উদ্দিন,
অপর দিকে, তুতুরবিল এলাকার শামশুল আলমের ছেলে সালাহ উদ্দিন, খালকাছা পাড়া এলাকার মোস্তাফিজের ছেলে ইমরান হোসেন তাকিয়া, হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ, কবির আহম্মদ, মৃত আবুল শমার ছেলে নুর আহম্মদ প্রকাশ পিটিং বদু, জাফর আলমের ছেলে রেজাউল করিম, মৌলভী রফিক, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে বেলাল, ছৈয়দ নুরের ছেলে জাহাঙ্গীর , নুরুল কবিরের ছেলে রিদুওয়ানসহ শীর্ষরা উল্লেখিত বন কর্মকর্তাদেরকে মাষিক মাষোহারা দিয়ে দিবারাত্রি পাহাড় কাটে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের টাকা দিলে বিশ্ব জয়করা যায়। দুর্ণীতিবাজ রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসনের কবল থেকে সরকারি বনভুমি কখনো রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। যে কর্মকর্তা পাহাড় কেখোদের সাথে আতাঁত করতে পারে সে কখনো রক্ষক হতে পারে না বলে তারা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাহাড় কেখো বলেন, তারা নিয়মিত টাকা দিয়েই পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছে।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসনের নিকট মুঠফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।