উখিয়া রেঞ্জের সদর বনবিট কর্মকর্তা ও ওয়ালা বনবিটের (ভারপ্রাপ্ত) বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের মাসিক মাষোহারায় সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা নির্মানে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও দেখার কেউ নেই।
উক্ত দুই বনবিটের চিহ্নিত ভুমিদস্যুদের সাথে বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদের সাথে আতাঁত করে সরকারি বনভুমির জায়গার উপর এ নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
সরজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে ও এলাকার বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সদর বনবিটের পাতাবাড়ী, হাঙ্গরঘোনা, হাজমরাস্তা, কুতুপালং পূর্ব Ñপাড়া, শীলের ছড়া, ফলিয়া পাড়া, মধুর ছড়া, ওয়ালা বনবিটের জামতলী, মহিলা কলেজ এলাকা, সিকদারবিল, উত্তর পুকুরিয়া, কামারিয়ার বিলের সরকারি বনাঞ্চলে স্থাপনা নির্মানে সহযোগিতা করে সরকারি বনভুমিকে বিরানভুমিতে পরিনত করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাতাবাড়ী এলাকার অরুন বড়–য়া ও প্রমতুশ বড়–য়া উচু কন্ঠে বলেন, আমরা বিট অফিসারকে টাকা দিয়ে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেছি। এখানে আমাদেরকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। যেহেতু, বন বিভাগ আমাদের সাথে ঠিক আছে তাই। অরুন বড়–য়া আরো বলেন, বিট অফিসার সাজ্জাদ প্রকৃত ভালো মানুষ। ওনাকে টাকা দিলে আর কোন সমস্যা হয়না। আগেও আমাদের এলাকায় সরকারি বনভুমিতে অনেক ঘরবাড়ী করেছে কোন সমস্যা হয়নি। টাকা নিলে সে বেঈমানি করে না।
এব্যাপারে বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সরকারি বনে স্থাপনা নির্মান ও টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।