মিয়ানমারের তৈরি মরণনেশা ইয়াবা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বানের পানির মতো পাচার হয়ে আসছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক এক শ্রেণির রোহিঙ্গা ও স্থানীয় পাচারকারী চক্র এসব ইয়াবা ক্যাম্পের নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করে। পরে তাদের সোর্স মারফত মহিলা ও পুরুষ রোহিঙ্গা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। স্থানীয় বুদ্ধিজীবি ও সুশীল সমাজের লোকজন দাবী করছেন মিয়ানমার নেশার চালান পাচার করে এদেশে গণমানুষের মাঝে তা বিস্তার করতে চাই। যাতে নেশাগ্রস্থ হয়ে মানুষ সুস্থ চিন্তাধারা থেকে ছিটকে পড়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত সড়ক তৈরি ও বিজিবি’র কড়া নজরদারীর কারণে তা পেরে উঠছে না।
তথাপিও রোহিঙ্গারা যাতে মিয়ানমারে আসা যাওয়া করতে না পারে সে ব্যাপারে আরো কড়াকাড়ি আরোপ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দরা। গতকাল ২৩ এপ্রিল শনিবার দুপুরে রতœাপালং ইউনিয়নের করইবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে আসার সময় বিজিবি’র সদস্যরা ৫জন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ৬ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ব লে. কর্ণেল মেহেদী হোসেন কবির জানান, ১৯ থেকে ২২ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযানে করইবুনিয়া এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি ইকবাল হোসেনের বাড়ি তল্লাশি করে ৫০ হাজার ইয়াবাসহকারে ইকবালের স্ত্রী সুফিয়া সুলতানা সুমি, ইকবালের মা ফাতেমা বেগম, পশ্চিম ডিগলিয়া এলাকার কালু মিয়ার ছেলে মোঃ রফিক উল্লাহ ও জালিয়া পালং ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মাহবুবসহ চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে রেজুপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরও ৬ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তারই সিন্ডিকেটের অপর সদস্য রফিকুল ইসলামকে গর্জনবুনিয়া সীমান্ত থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, মূলত ঈদকে টার্গেট করে এ চালানটি আসছিল। এটি কয়েক হাত ঘুরেই রাজধানী ঢাকায় পৌঁছানো হতো।
রোহিঙ্গা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, সীমান্ত সড়ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে সরকার উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তর করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের তৈরি ইয়াবা, আইস, পলিথিন, সিগারেট জাতীয় দ্রব্যাদি যেন স্থানীয় ভাবে বাজারজাত করতে না পারে সেব্যাপারে প্রশাসনকে আরো সচেষ্ট হতে হবে।