উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা এলাকায় দিবারাত্রি পাহাড় নিধনের মহোৎসব চলেলও বন বিভাগ চোখে কালো চশমা দিয়ে রয়েছে নিরব দর্শকের ভুমিকায়।
সূত্রমতে, মধ্যম রাজাপালং এর জামাই আব্দুর রশিদ প্রকাশ ইয়াবা রশিদ ও তার চেইন অব কমান্ড হেডম্যান মোহাম্মদের ছেলে শীর্ষ পাহাড় কেখো আবু তাহেরের নেতৃত্বে নুর আহম্মদ প্রকাশ খুইল্যার ছেলে সাহাব উদ্দিন, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু ও নুরুল আলম প্রকাশ নুইজ্যার ছেলে হেলালসহ ১০/১৫ জনের একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট সরকারি বনভুমির পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনভুমির পাহাড়কে ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিন হরিণমারা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হরিণমারা গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী ছৈয়দ হোসনের স্ত্রী পারভিন আক্তার উল্লেখিত সিন্ডিকেটের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে দিবারাত্রি স্থাপনা ভরাটের মহোৎসব চালিয়ে গেলেও কিন্তু দেখার কেউ নেই।
পরিবেশ বাদীরা বলেন, হরিণমারা এলাকার পাহাড় নিধন সিন্ডিকেটের লোকজন বনভুমির পাহাড়কে টার্গেট করে সরকারি বনভুমিকে বিরান ভুমিতে পরিনত করে যাচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে বন ও পরিবেশ, লাভবান হচ্ছে পাহাড় কেখো সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাহাড় কেখো বলেন, আমরা প্রতি রাতে বন বিভাগকে টাকা দিয়ে পাহাড়ের মাটি পাচার করি। যে দিন পাহাড় কাটবো সে দিন সন্ধায় টাকা না দিলে এমনকি গাড়ী পর্যন্ত বের করা যাবে না। তাছাড়া হেডম্যান মোহাম্মদের বদৌলতে আমরা সুযোগ – সুবিধা একটু বেশি পায়।
দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হাওলাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এদের জন্য মামলা দেওয়া আছে।