উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখা পুরাতন বড়ুয়া পাড়া এলাকায় নববধু হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
বিয়ের ১ মাসের মাথায় প্রবাসী টিপু বড়ুয়ার স্ত্রী সুবর্ণ বড়ুয়া (২৩) এর ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রমতে, উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখা পুরান বড়ুয়া পাড়া গ্রামের দিনাংশু বড়ুয়ার ছেলে বাহরাইন প্রবাসী টিপু বড়ুয়া (২৭) এর সাথে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়া গ্রামের দুলাল বড়ুয়ার মেয়ের সাথে গত এক মাস আগে উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে পারিবারিক ভাবে বিবাহ অনুষ্টান সম্পন্ন হয়। বিয়ের এক মাস যেতে না যেতে সুবর্ণ বড়ুয়া (২৩) রহস্যজনক কারনে ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
নিহতের চাচা সুমন বড়ুয়াবলেন, আমার ভাতিজি সুবর্ণ বড়ুয়াকে তার স্বামী টিপু বড়ুয়া গলা টিপে হত্যা করেছে। ভাতিজি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত টিপু বড়ুয়াকে গ্রেপ্তারে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উৎঘাটন হবে বলে তিনি দাবী জানান।
নিহত সুবর্ণ বড়ুয়ার পিতা দুলাল বড়ুয়া , বলেন, আমার মেয়ে সুবর্ণ বড়–য়া হত্যার এক সাপ্তাহ আগে জামাই টিপু বড়ুয়া আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবী করেন। আমি আমার মেয়ের স্বামী টিপু বড়ুয়ার দাবীকৃত টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করায় আমার মেয়ে সুবর্ণ বড়ুয়াকে মারধর পূর্বক গলাটিপে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, আমার মেয়েকে শ্মশানে নিয়ে গেলে ওইখানেও ধারালো দা, কিরিচ ইত্যাদি নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যার চেষ্টা করে টিপু বড়ুয়া।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার মেয়ে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে থানা বা আদালতের আশ্রয় নিলে আমার মেয়ে সুবর্ণ বড়ুয়া রমত আমাকেও হত্যা করা হবে মর্মে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তাই আমি আমার মেয়ে সুবর্ণ বড়য়া হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত টিপু বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মদ সনজুর মোরশেদ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।