উখিয়ায় স্বত্বদখলীয় জমির পাকাধান লুট করেছে প্রতিপক্ষ দৃর্বৃত্তরা। উক্ত পাকাধান লুটপাটের ঘটনা নিয়ে শালিসী বৈঠকে হামলা, বসতবাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের ৫ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার সন্ধা ৫ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ নারকিয় তান্ডব চলে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কিন্তু দেখার কেউ নেই।
ভুক্তভোগীদের উক্তি, দেশে আইন আছে, প্রয়োগ নেই ? উখিয়া থানা ও আদালতে মামালা বিচারাধীন থাকা সত্বেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হতদরিদ্র কৃষক আমির হোসনের পাকা ধান লুটপাট করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে ভুক্তভোগী আমির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সরজমিন, ঘটনাস্থল ও এলাকার বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হাজির পাড়া গ্রামের হতদরিদ্র ও জমির মালিক আমির হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষ মৃত উলা মিয়ার ছেলে মির আহম্মদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত তার ৮০ কড়া জমির পাকা ধান লুট করে নিয়ে যায়। উক্ত লুটপাটের ঘটনায় প্রতিপক্ষের ৭/৮ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে, অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই শাহজালাল বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধান করার জন্য শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে। বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে নুর হোটেলস্থ মুন্সীর অফিসে অনুষ্টিত বৈঠকে মির আহম্মদের লেলিয়ে দেয়া দুর্বৃত্তরা বৈঠকে হামলা চালায়। এ বিষয়ে শালিসকারক রুহুল আমিন মেম্বার ও মোকতার আহম্মেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুধবার রাত ৯ টার দিকে মির আহম্মদের লোকজন হাজির পাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী আমির হোসনের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি মারধরে মোঃ আলী (৩৫), আমির হোসেন (৪৫), হাজেরা খাতুন (৩০), মোঃ আলী ফকির (৪৫) ও আমির হোসেন (৫৫) সহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের শোর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজালাল বলেন, আমির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগটি তদন্ত কাজ চলছে বলে তিনি জানান। ঘটনার সাথে জড়িত মির আহম্মদের সাথে বারবার যোগা যোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।