কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইনানী রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের হরিণমারা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে সরকারি বন ভুমির পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহ্নত দুটি ড্রেজার মিশিন ও বিপুল পরিমান সরঞ্জামাদি উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও উক্ত ড্রেজার মিশিন এর সাথে জড়িত মৃত আব্দুল আজিজ মিয়া চৌধুরীর ছেলে আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা পাহাড় ধ্বংসকারী ছৈয়দ করিম চৌধুরী ও তার চেইন অব কমান্ড একই এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে জাহাঙ্গীর সহ শীর্ষরা।
স্থানীয় ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, হরিণমারা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মিয়া চৌধুরীর ছেলে ছৈয়দ করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল বালি সিন্ডিকেট দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় বন বিভাগ, পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি বন ভুমির পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
তারা আরো বলেন, তাদের অবৈধ বালি উত্তোলনের ব্যাপারে কেউ প্রতিবাদ করিলে তাদের উপর নেমে আসে চরম অত্যাচার ও নির্যাতন। তাই উক্ত বালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহাস পাইনা।
সূত্রমতে, আরো জানা গেছে, ভুমিদস্যু ছৈয়দ করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল বালি সিন্ডিকেট মামলা ধামাচাপা ও মামলা থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য লাখ টাকার মিশন নিয়ে রেঞ্জ কার্যালয়ের ধারে ধারে ঘুরছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, খাল ইজারাদারদেরকে সরকার খাল ইজারা দিয়েছে নাকি সরকারি বন ভুমির পাহাড় ইজারা দিয়েছে ? যদি সরকার খাল ইজারা দিয়ে থাকে তাহলে সরকারি বন ভুমির পাহাড়ের কি অপরাধ। পাহাড়ের উপর এত নির্মমতা কেন ?
উক্ত অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মু, শফিউল আলম, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসাইন, বন কর্মকর্তা কর্মচারী ও সিপিজি সদস্যরা। এ ব্যাপারে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মু, শফিউল আলম অভিযান ও ড্রেজার মিশিন উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করেন এবং উক্ত বালি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।