কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উখিয়া জোনাল অফিসের অধীনে প্রায় ৭৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৮ কোটি টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল উদ্ধার ও বিদ্যুৎ চুরি বন্ধে সরকারের জিরো ট্রলারেন্স বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ ঘাটতি ও পূরনের লক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গ্রাহকের দরজায় দরজায় গিয়ে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে আসছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম মোঃ ইব্রাহিম।
৬ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তাজ উদ্দিন ও উখিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ ইব্রাহিম, এমটিস জাকিউল ইসলাম , আইসি কায়সার হোসাইন, ওয়ারিং ইনস্পেক্টর গোপাল, এমসি এম নাঈমুল ইসলাম, এমসি এম বাবুল শেখ, এমসি এম বিটু দে ও র্যাব ১৫ সহ এর একদল বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা উখিয়া সদর, রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া, কোটবাজার, জালিয়াপালং ও রাজাপালংয়ে অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে রত্নাপালং ইউনিয়নের করইবনিয়া এলাকার মৃত নুর আয়াছ এর ছেলে মোঃ হারুন (৪০) ও জালিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব – পাইন্যাশিয়া গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে মোঃ আয়াছ (৩০) কে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে পৃথক ১ মাসের করে দুইজনকে দুই মাসের সাজা প্রদান করেছেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তাজ উদ্দিন।
শুধু তাই নয়, ৬ জন গ্রাহকের ২ লাখ ৩ হাজার ৮শত ২৪ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করার দায়ে সংযোগ বিচ্ছন্ন ও মিটার জব্দ করার পাশাপাশি ৪ জন গ্রাহককে ১০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত উখিয়া।
এব্যাপারে ডিজিএম মোঃ ইব্রাহিম, ৭৫ হাজার গ্রাহকের মাঝে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকার মতো তাই উক্ত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার সাথে জড়িতদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।