মিয়ানমারের আরাকানে কথিত আল ইয়াকিনের সদস্যদের চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলেই চলছে একের পর এক জুলুম, নির্যাতন ও অপহরণের মত ঘটনা। গত ২৮/০৫/২০২১ইং বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৬, এর আবুল বশরের ছেলে ক্যাম্পের সাবেক শীফ মাঝি মোঃ তাহের (৩২) কে, স্বশস্ত্র ঐ গ্রুপের সদস্য ঘর থেকে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ ২৮ দিন অমানবিক নির্মম নির্যাতনের পর হাত ,পা ভেঙ্গে তাকে গহিণ অরণ্যে ফেলে দেয় বলে জানা গেছে। পরে খবর পেয়ে ক্যাম্প পুলিশ অভিযান চালিয়ে গহিণ অরণ্যে থেকে মুমর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করিলে অশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন।
সূত্রমতে, শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের ডি – ব্লকের দিল মোহম্মদের ছেলে হেড মাঝি আন্ডার গ্রাউন্ড অপরাধ জগতের অন্যতম গড়ফাদার ও আল ইয়াকিনের প্রধান মোঃ নুর (৩৮), তার চেইন অব কমান্ড রজি উল্লার ছেলে জুনাইদ উল্লাহ (৩৩) এর নেতৃত্বে আব্দুল আমিনের ছেলে মৌঃ রজিউল আমিন, ক্যাম্প ১৯ এর মৌঃ জকরিয়ার ছেলে মেীলভী আনস (৩৫),ক্যাম্প ১৬ এর সাহাব মিয়ার ছেলে রাবু উল্লাহ (৩৫) সহ শীর্ষরা শীফ মাঝি মোঃ তাহেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ পূর্বক দীর্ঘ ২৮ দিন নির্মম নির্যাতন করে ও ক্ষান্ত না হয়ে ফের হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি থানা বা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা করিলে তাদেরকে স্ব- পরিবারে হত্যা করে লাশ ঘুম করা হবে বলে হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে বলে ভুক্তভোগী তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শফিউল্লাহ কাটা ক্যাম্পের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা জানান, উল্লেখিত অস্ত্রধারীদের বেপরোয়া চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, অপহরণ পূর্বকমুক্তিপান আদায়, হত্যা, ধর্ষন ও ঘুম সহ নানা নির্যাতনে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা পরিবার জিম্মি দষায় জীবন যাপন করছে বলে তিনি জানান। তাই অতি শিঘ্রই তাদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও সিআইসি ক্যাম্প ১৬ এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
ভুক্তভোগী তাহের জানান, ক্যাম্প ইনচার্জ ও উখিয়া থানা বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ আমাকে অপহরণ ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ৩ মাসেও কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তাই তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সনজুর মোরশেদ অপহরণ ও হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।