উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ এর রাম রাজত্বে বনভুমি ধ্বংসের লিলা ভুমিতে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিন থাইংখালী বনবিটের বালুখালী মরা গাছ তলা, রহমতেরবিল, জামতলী ও তেলখোলা এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ মুন্সী সালেককে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে স্থানীয় বালি সিন্ডিকেটের সাথে আতাঁত, বালুখালী এলাকার মৃত সোলাইমান মিস্ত্রির ছেলে এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু নুরুল হক এর সাথে কালো টাকার বিনিময়ে মার্কেট নির্মানে সহযোগিতা, জামতলী এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে কালুর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মার্কেট নির্মানে সহযোগিতা ও রহমতেরবিল এলাকার এনাম বাহিনীর সাথে আতাঁত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আলিশান স্বর্ণকমল নির্মানে সহযোগিতা করে আসলেও উক্ত সরকারি বনভুমির জায়গা দখল – বেদখল নিয়ে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারনে ও টাকা হজম করতে নিরব দর্শকের ভুমিকায় বন বিভাগ। আর এতে সরকারি বনভুমিকে ধ্বংসের লিলা ভুমিতে পরিনত করে গেলেও দেখার কেউ নেই?
স্থানীয়রা বলছেন, রক্ষক যদি ভক্ষকের ভুমিকায় থেকে আখের গোছানোর কাজে ব্যস্থ থাকে তাহলে বন সম্পদ রক্ষা করবে কে?
সূত্রমতে,থাইংখালী বিটের আওতাধীন তেলখোলা, জামতলী, মোছারখোলা, ঘোনার পাড়া, রহমতেরবিল, সফিউল্লাহ কাটা এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও পাহাড় যজ্ঞেরমতো জঘন্য অপরাধীদের সাথে আতাঁত করে সরকারি বনভুমিতে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট নির্মান, পাহাড় কাটা, সরকারি বনভুমি বেছা- বিক্রি, অবৈধ করাতকল, সরকারি পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাচারে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও অন্যদিকে ধ্বংস হচ্ছে বন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। বিট কর্মকর্তার লাগামহীন চাদাঁবাজীতে ক্ষুব্দ স্থানীয় পরিবেশবাদী, সুশিল সমাজের লোকজন ও সচেতন মহল।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, থাইংখালী বনবিট কর্মকর্তার বেপরোয়া মানলিতে সরকারি বনভুমির কোন প্রকার চিহ্ন থাকবেনা বলে তারা দাবী করেন।
অবৈধ বালি খেকো নুর হোসেন বলেন, ভাই আমরা বন বিভাগকে টাকা দিয়ে বালি উত্তোলন করি, যদি বন বিভাগকে টাকা না দিই, তাহলে বালি উত্তোলনতো দুরের কথা পাহাড়েও হাত দেওয়া যাবেনা।
বালি কেখো মমতাজ বলেন, ভাই এদেশে টাকা থাকলে বিশ্বজয় করা যায়, যার টাকা নাই তার জন্য পৃথিবীটা অন্ধকার। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যা থাকে।
অবৈধ স্থাপনাকারী নুরুল হক বলেন, বিট অফিসার ভালো মানুষ, ওনাকে টাকা দিলে আর কাউকে টেনশন করতে হয়না। আর সবাই যদি বিট অফিসারকে টাকা দিয়ে স্থাপনা করতে পারলে আমি কেন পারবনা, আমি ও টাকা দিয়ে মার্কেট নির্মান করতেছি।
এ ব্যাপারে, থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ, অবৈধ বালি পাচার, পাহাড় কেটে মাটি পাচার, অবৈধ স্থাপনা নির্মান, অবৈধ করাতকলের নৈরাজ্যর কথা স্বীকার করলেও সুচতুর বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।