সম্প্রতি, পাহাড় কাটা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কক্সবাজারের ডিসি, এসপি, উখিয়ার ইউএনওসহ ৯ জনরে বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হলেওে থেমে নেই অবৈধ পাহাড় কাটা ও স্থাপনা নির্মান।
উখিয়া বন রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের আওতাধীন হরিণমারা, খয়রাতিপাড়া, আমিন পাড়া ও দোছড়িসহ বিটের সর্বত্রে চলছে পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে মাটি পাচার, সরকারি বনভুমির জায়গা বেছা- বিক্রি ও অবৈধ স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত থাকলেও উখিয়া বন রেঞ্জের দোছড়ি বনবিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হাওলাদার দাপুড়ে পাহাড় কেখোদের হাতে জিম্মি হয়ে অসহায়েরমত নিরব দর্শকের ভুমিকায়। আর এতে ধ্বংস হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার বন সম্পদ ও পরিবেশ।
উক্ত পাহাড় কাটার সাথে জড়িতরা হলেন, রাজাপালং জাদিমোরা এলাকার মৃত নুরুল কবির মাষ্টারের ছেলে সাইফুল, হরিণমারা এলাকার হেডম্যান মোহাম্মদের ছেলে তাহের, তুতুরবিল এলাকার শামশুল আলমের ছেলে এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কেখো সালাহ উদ্দিন, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে বেলাল, হিজোলীয়া এলাকার রশিদ, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার ছৈয়দ করিম প্রকাশ কানা ছৈয়দ, রশিদ আহম্মদের ছেলে কামাল, বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল, নুর আহম্মদ প্রকাশ খুইল্যার দুই ছেলে সাহাব উদ্দিন ও জসিম, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু, নুরুল আলম প্রকাশ নুইজ্যার ছেলে হেলাল, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আহম্মদ কবিরের ছেলে মোস্তাকসহ ১৫/২০ জনের একটি বৃহত্তর পাহাড় কেখো সিন্ডিকেট।
ভুমিদস্যু সাহাব উদ্দিন জানান, আমরা বিট কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে মাটি পাচার করে যাচ্ছি। টাকা দিলে এদেশে সব কিছু করা সম্ভব। তাই বন বিভাগ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই।
এ ব্যাপারে , অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হাওলাদার পাহাড় কাটা, মাটি পাচার, সরকারি বনভুমির জায়গা বেছা – বিক্রি সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।