বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার চালু করায় জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থাকে (ইউনেস্কো) ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতীয় সংসদ। এ বিষয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় সাধারণ আলোচনার জন্য প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ।
প্রস্তাবে তিনি বলেন, সংসদের অভিমত এই যে, জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রবর্তন করায় জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ইউনেস্কোকে বাংলাদেশের সব জনগণের পক্ষ হতে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হোক।
প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, নুরুল ইসলাম নাহিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ওয়াসিকা আয়শা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও পীর ফজলুর রহমান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান। তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশনের মতো বাংলাদেশের যুব সমাজও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘উগান্ডা আজ এই পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশেরও কোনো না কোনো উদ্যোক্তা এই পুরস্কার পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সাধারণ আলোচনার সমাপ্তি ঘোষণা করে স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দেন। উপস্থিত সংসদ সদস্যরা সমস্বরে প্রস্তাবের পক্ষে হ্যাঁ ভোট দেন। ফলে সর্বসম্মতিতে প্রস্তাবটি পাস হয়। এরপর স্পিকার মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অধিবেশন মূলতবি ঘোষণা করেন।