কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জের রাজাপালং বনবিটে দুই বনমুন্সীর রাম রাজত্ব কে থামাবে।
মঙ্গলবার সকালে রজাপালং বনবিট এলাকা ঘুরে ও বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালি সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাজাপালং বিট কর্মকর্তা ক্যচিং চাকমা উপজাতি ও কম বয়সী হওয়ার সুবাদে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিটের দুই বনমুন্সী ইশতিয়াক, মুন্সী সালাম এর সাথে আতাঁত করে নির্বিচারে সরকারি বনভুমির পাহাড় কেটে মাটি পাচার ও পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও রহস্যজনক কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকায় বন বিভাগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, রাজাপালং বনবিটের দুই বনমুন্সী সালাম ও ইশতিয়াক এর সহযোগিতায় রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার শামশুল আলমের ছেলে এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কেখো সালাহ উদ্দিন, হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ, কবির আহম্মদ, মৃত আবুল শমার ছেলে নুর আহম্মদ প্রকাশ পিটিং বদু, জাফর আলমের ছেলে রেজাউল করিম, মৌলভী রফিক, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে বেলাল, ছৈয়দ নুরের ছেলে জাহাঙ্গীর , নুরুল কবিরের ছেলে রিদুওয়ান, হিজোলীয়া এলাকার রশিদ, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার ছৈয়দ করিম প্রকাশ কানা ছৈয়দ, রশিদ আহম্মদের ছেলে কামাল, বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল, পিনিজিরকুল এলাকার আবু তাহের, পশ্চিম রত্নার কামাল মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিন, নুর আহম্মদ প্রকাশ খুইল্যার দুই ছেলে সাহাব উদ্দিন ও জসিম, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু ও নুরুল আলম প্রকাশ নুইজ্যার ছেলে হেলাল, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের মোস্তাকসহ ১৫/২০ জনের একটি বৃহত্তর পাহাড় কেখো সিন্ডিকেট উল্লেখিত বন মুন্সীদের মাষিক মাষোহারা দিয়ে দিবারাত্রি পাহাড় কাটে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকায় সন্ধা ৭ টার দিকে পাহাড় কাটার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে মাটিভর্তি ডাম্পার গাড়ী আটক করলেও শেষ পর্যন্ত গাড়ীটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি বন বিভাগ। সর্বশেষ মাটিভর্তি কানা ছৈয়দ করিমের ডাম্পার গাড়ীটি বিট কর্মকর্তা ক্যাচিং চাকমাকে হত্যার উদ্দেশ্য চাপা দিয়ে চলে গেলেও বিট কর্মকর্তা অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পায় বলে জানা গেছে। তবে ওই সময় বিতর্কিত দুই বনমুন্সী রহস্যজনক কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকায় ছিল বলেও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রমতে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও মুন্সীদের টাকা দিলে বিশ্ব জয়করা যায়। দুর্ণীতিবাজ এ দুই মুন্সীদের কবল থেকে সরকারি বনভুমি কখনো রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। তাই বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিতর্কিত সালাম মুন্সী ও ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাহাড় কেখো বলেন, আমরা গাড়ী প্রতি টাকা দিয়েই পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতেছি। এতে আমাদের দোষ কোথাই।
রাজাপালং বিট কর্মকর্তা ক্যচিং চাকমা বলেন, ভাই আমি কারো কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা নেয়নি। তবে আমার মুন্সী দুটি নিলেও আমার কিছুই করার নেই বলে তিনি জানান।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা শামীম রেজা মিটু তদন্ত পূর্বক পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বন বিভাগের কোন কর্মকর্তা – কর্মচারী যদি পাহাড় কেখোদের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে বলে তিনি জানান।