কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জের রাজাপালং বনবিটে থেমে নেই পাহাড়যজ্ঞ ও অবৈধ বালি পাচার।
রোববার সকালে রজাপালং বনবিট এলাকা ঘুরে ও বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মধ্যম রাজাপালং এলাকার জাফর আলমের ছেলে রেজা মৌলভী রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান ও বনমুন্সী সালাম এর সাথে আতাঁত করে বিটের বাগানের পাহাড় ও তুতুরবিল এলাকার সরকারি বনভুমির পাহাড়ে গভীর নলক’প স্থাপন করে ড্রেজার মিশিনের সাহায্য অবৈধ বালি উত্তোলন করে ইজারাদার আবুল কালামের নিকট থেকে রশিদ সংগ্রহ করে ডাম্পার যোগে পাহাড়ী বালি পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও পাহাড় কেখো ও অবৈধ বালি পাচারকারীদের কালো টাকার পাহাড়ের কাছে জিম্মি রহস্যজনক কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকায় রয়েছে বন কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, রাজাপালং বনবিটের বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান ও বনমুন্সী সালাম এর সহযোগিতায় বিটের বাগানের পাহাড় ও তুতুরবিল এলাকার পাহাড় কাটা সিন্ডিকেট ও অবৈধ বালি পাচারকারী সিন্ডিকেটের গডফাদাররা বিট কর্মকর্তা ও বন মুন্সীদের মাষিক মাষোহারা দিয়ে দিবারাত্রি পাহাড় কাটে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তা ও মুন্সীদের টাকা দিলে বিশ্ব জয়করা যায়। উখিয়ার ঘাট বনবিটের বিতর্কিত ও দুর্ণীতিবাজ বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান রাজাপালং বিটে যোগদানের পরপরই বন মুন্সীদের সাথে সমন্বয় করে পাহাড় যজ্ঞেরমতো জঘন্য অপরাধীদের সহযোগিতা করে একদিকে ধ্বংস করছে সরকারি বন অপর দিকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকার পাহাড়।
সচেতন মহলের অভিমত, বন ও পরিবেশ ধ্বংসকারী বিট কর্মকর্তা ও মুন্সীদের কবল থেকে সরকারি বনভুমি কখনো রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। তাই বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিট কর্মকর্তা ও সালাম মুন্সীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাহাড় কেখো বলেন, আমরা গাড়ী প্রতি টাকা দিয়েই পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতেছি। এতে আমাদের দোষ কোথাই।
রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মন্সুর রহমান, কালকেও অভিযান চালিয়ে রাজাপালং আলিমোরা এলাকার মাদারি জামালের অবৈধ ডাম্পার গাড়ীসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। পাহাড় কাটার সাথে জড়িত মাদারি জামাল ও আটককৃতর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।