কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেন ও রাজাপালং বনবিট কর্মকর্তার রাম রাজত্ব কে থামাবে।
শনিবার সকালে রজাপালং বনবিট এলাকা ঘুরে ও বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কাটা ও অবৈধ বালি সিন্ডিকেটের সদস্যরা রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেন ও রাজাপালং বিট কর্মকর্তা ক্যচিং চাকমা, মুন্সী ইশতিয়াক, মুন্সী সালাম এর সাথে আতাঁত করে নির্বিচারে সরকারি বনভুমির পাহাড় কেটে মাটি পাচার ও পাহাড়ের সাথে ড্রেজার মিশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও রহস্যজনক কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকায় বন কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেন , রাজাপালং বিট কর্মকর্তা ক্যচিং চাকমা, মুন্সী সালাম ও ইশতিয়াক এর সহযোগিতায় রাজাপালং ইউনিয়নের মধ্যম রাজাপালং এলাকার বদিউজ্জামানের ছেলে এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কেখোদের অন্যতম গডফাদার হেলাল উদ্দিন তার চেইন অব কমান্ড তুতুরবিল এলাকার শামশুল আলমের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ, কবির আহম্মদ, মৃত আবুল শমার ছেলে নুর আহম্মদ প্রকাশ পিটিং বদু, জাফর আলমের ছেলে রেজাউল করিম, মৌলভী রফিক, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে বেলাল, ছৈয়দ নুরের ছেলে জাহাঙ্গীর , নুরুল কবিরের ছেলে রিদুওয়ান, হিজোলীয়া এলাকার রশিদ, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার ছৈয়দ করিম প্রকাশ কানা ছৈয়দ, রশিদ আহম্মদের ছেলে কামাল, বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল, পিনিজিরকুল এলাকার আবু তাহের, পশ্চিম রত্না কামাল মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিনসহ শীর্ষরা উল্লেখিত বন কর্মকর্তা ও মুন্সীদের মাষিক মাষোহারা দিয়ে দিবারাত্রি পাহাড় কাটে মাটি পাচার ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের টাকা দিলে বিশ্ব জয়করা যায়। দুর্ণীতিবাজ রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেন, বিট কর্মকর্তা ও মুন্সীদের কবল থেকে সরকারি বনভুমি কখনো রক্ষা করা সম্ভব হবেনা। যে কর্মকর্তা পাহাড় কেখোদের সাথে আতাঁত করতে পারে সে কখনো রক্ষক হতে পারে না বলে তারা জানান। তাই বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিতর্কিত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সরওয়ার আলমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাহাড় কেখো বলেন, আমরা গাড়ী প্রতি টাকা দিয়েই পাহাড় কেটে মাটি পাচার করতেছি। এতে আমাদের দোষ কোথাই।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তোসাদ্দেক হোসনের নিকট বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেও মুঠফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজাপালং বিট কর্মকর্তা ক্যচিং চাকমা বলেন, ভাই আমি কারো কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা নেয়নি। তবে আমার মুন্সী দুটি নিলেও আমার কিছুই করার নেই বলে তিনি জানান।