উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের আওতাধীন হরিণমারা এলাকায় থেমে নেই পাহাড়যজ্ঞ। দোছড়ি বিট কর্মকর্তার ঘনিষ্ট সহচর মধ্যম রাজাপালং এলাকার বদিউজ্জামানের ছেলে শীর্ষ পাহাড় কেখো হেলালরে নেতৃত্বে একটি বৃহত্তর পাহাড় কেখো সিন্ডিকেট নির্বিচারে পাহাড়যজ্ঞ চালিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে নিরব দর্শকের ভুমিকায় বন বিভাগ।
পাহাড় কেখো হেলাল বলেন, উখিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা – কর্মচারী, কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চট্রগ্রামস্থ সিএফ পর্যন্ত তার সাথে সর্ম্পক। তাই উখিয়ার বন বিভাগ হরিণমারা এলাকার পাহাড়যজ্ঞ কখনো বন্ধ করতে পারবেনা। কারন বন বিভাগ অভিযানে বের হওয়ার আগে আমাকে ফোন করে বের হয়।
তাই উখিয়ার বন বিভাগ আমি হেলাল সিন্ডিকেটের দিকে থাকাইনা। শুধু তাই নয়, আমি ও আমার সিন্ডিকেটের লোকজন একটি, দুটি পাহাড় না হাজারো পাহাড়ও যদি কেটে শেষ করে ফেলেলও উখিয়ার বন বিভাগের করার কিছুই নেই।
উক্ত সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতরা হলেন, আলীমোরা এলাকার জামাল উদ্দিন প্রকাশ মাদারী জামাল, হরিণমারা এলাকার বদি আলম প্রকাশ সাদু বদি আলম, সালাহ উদ্দিন হরিণমারা গ্রামের ছৈয়দ নুরের ছেলে আবুল কালাম, মধ্যম রাজাপালং এর জামাই আব্দুর রশিদ তার চেইন অব কমান্ড নুর আহম্মদ প্রকাশ খুইল্যার দুই ছেলে সাহাব উদ্দিন ও জসিম, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু ও নুরুল আলম প্রকাশ নুইজ্যার ছেলে হেলাল, রাজাপালং গ্রামের সাইফুল, উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের মোস্তাকসহ ১০/১৫ জনের একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট সরকারি বনভুমির পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে নির্বিঘ্নে মাটি পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনভুমির পাহাড়কে ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলেন, অচিরেই হেলাল সিন্ডিকেটের মতো পাহাড় ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকারি বনভুমির পাহাড়ের কোন প্রকার চিহ্নও থাকবেনা। তাই পাহাড় কাটার সাথে ব্যবহ্নত ডাম্পার গাড়ী ও বন কর্মকর্তাদের পাহারার দায়িত্বে থাকা গাড়ি গুলো জব্দ করার পাশাপাশি কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা না হলে এলাকার বনও পরিবেশের উপর চরম বিপর্যয় দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে, দোছড়ি বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগের বন মামলা আছে বলে তিনি মোবাইলটি কেটে দেয়।