সাধুরা সাবধান? উখিয়া রেঞ্জের হলদিয়া পালং বনবিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলমের নিরব চাঁদাবাজীতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় সচেতন মহল ও পরিবেশবাদীরা।
সরজমিন হলদিয়া পালং বনবিটের হাতিরঘোনা এলাকার পরিতোষ বড়–য়ার নেতৃত্বে স্কেভেটার ও অবৈধ ডাম্পার গাড়ী দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের একাংশ, ঘাটিপাড়া, মধু ঘোনা, ক্লাসে পাড়া এলাকা ঘুরে ও বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে হেডম্যান লাবুসহ বনকর্মীরা হাতিরঘোনা, ঘাটিপাড়া, মধু ঘোনা, ক্লাসে পাড়া এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু ও পাহাড় যজ্ঞেরমতো জঘন্য অপরাধীদের সাথে আতাঁত করে সরকারি বনভুমিতে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা, পাহাড় কাটা, অবৈধ করাতকলে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এতে ধ্বংস হচ্ছে বন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। বিট কর্মকর্তা ও হেডম্যানের লাগামহীন চাদাঁবাজীতে ক্ষুব্দ স্থানীয় পরিবেশবাদী, সুশিল সমাজের লোকজন ও সচেতন মহল।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, হলদিয়া পালং বনবিট কর্মকর্তার বেপরোয়া মানলিতে সরকারি বনভুমির কোন প্রকার চিহ্ন থাকবেনা বলে তারা দাবী করেন।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলেন, হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম ও হেডম্যান লাবুর অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিষয়টুকু জেলা সমন্বয় মিটিংয়ে উত্তাপন করা হবে বলে তারা জানান। পরিবেশবাদীরা আরো বলেন, অতি শিঘ্রই বিট কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতির তথ্য প্রমান সহকারে ঢাকাস্থ পরিবেশ ও বনমন্ত্রনালয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক ডাম্পার মালিক বলেন, ভাই আমরা বন বিভাগকে টাকা দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি পাচার করি, যদি বন বিভাগকে টাকা না দিই, তাহলে পাহাড় কাটাতো দুরের কথা পাহাড়েও হাত দেওয়া যাবেনা।
হেডম্যান লাবু বলেন, আমার একটি ডাম্পার গাড়ী আছে সেটা ডিপু, এসিএফ ও রেঞ্জারসহ সবাই জানে, কারন তাদের সাথে আমার সব সময় উঠা বসা, তাই তারা আমার দিখে থাকাইনা। আর এদেশেতো টাকা থাকলে বিশ্বজয় করা যায়, যার টাকা নাই তার জন্য পৃথিবীটা অন্ধকার। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যা থাকে আর কি?
এ ব্যাপারে, হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আলম পাহাড় কাটা ও মাটি পাচারের কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।