শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জালিয়া পালং বিটে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির উৎসব — বিট কর্মকর্তা লাখপতি বালুখালী সীমান্তের বুজুরুজ ও রহিমকে গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে ভুলু হত্যা ও ইয়াবাসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাইংখালীতে দিবারাত্রি স’ মিলে কাঠ চিরায়ের উৎসবঃ হামলায় আহত – ২ কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা কর্তৃক স্থানীয়দের ধান ক্ষেত নষ্ট সোনার পাড়ায় ইয়াবা কাদের এর হামলায় কলেজ ছাত্র আহত উখিয়ায় ইয়াবা কারবারীর ধারালো দায়ের কূপে আহত মিজান ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নির্মিত হচ্ছে পাহাড় কেখো ছৈয়দ করিমের স্থাপনা হলদিয়া পালং বিট কর্মকর্তার দুধের গাভী হেডম্যান লাবু ইনানী বনাঞ্চলে জ্বলছে আগুন, পুড়ছে বাগান উখিয়ায় বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদের মাসিক মাষোহারায় চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মানের উৎসব

উখিয়ায় টোকেন বাণিজ্যের মাধ্যমে চলছে অটোরিকশা ও টমটম

Spread the love

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উখিয়ায় টোকেন বাণিজ্যের মাধ্যমে চলছে অটোরিকসা। অভিযোগ রয়েছে, উখিয়ার বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক পুলিশদের মাসোহারা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করেই সিএনজিচালিত এসব অটোরিকশা ও টমটম চলছে দিনের পর দিন। এ ঘোষের পরিমাণ প্রতিমাসে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। টমটমের ক্ষেত্রে একটু কম হলেও টাকা দিতে বিলম্ব হলে টমমটম আটক রেখে টাকা আদায় করে থাকে। আর তাই অবৈধভাবে চলা অটোরিকশা ও টমটমগুলোর ব্যাপারে নমনীয় পুলিশ। অটোরিকশা ও টমটম সমিতির নেতাদের সাথে ট্রাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে রয়েছে দারুণ সখ্য। অর্থাৎ কোনো অটোরিকশা কক্সবাজার যাওয়ার পথে কোনো ট্রাফিক সার্জেন্টকে ঘুষ দেওয়া থাকলে সেটি যখন কক্সবাজারের কোন সার্জেন্ট আটক করেন তখন চালক ঘুষ নেওয়ার কথা বলিয়ে দেন এবং টোকেন দেখান। উখিয়া থেকে কুতুপালং যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশ টমটম আটক করলে চালক টোকেন দেখাতে পারলে ঝামেলা শেষ। টোকেন দেখাতে না পারলে টমটম রেখে দিয়ে আট থেকে দশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি উখিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ক্ষুদ্ধ জনতার হাতে হাইওয়ে পুলিশ নাজাহালের শিকার হয়েছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশেশর সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতনরা। প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তারা। অটোরিকশা ও টমটমের ফলে উখিয়ায় যানজট কিছুতেই কমছে না। সড়ক দুর্ঘটনাও বাড়ছে সমানতালে। সুশাসনের জন্যে নাগরিক সুজনের উখিয়া উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, দুর্ঘটনায় টমটমের আঘাতে আমি নিজেও আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার নবাগত ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী অভিযান পরিচালনা করেছেন। থানার মোড় থেকে অটোরিকশা সরিয়ে দেওয়ায় উখিয়া সদর ষ্ঠেশনে যানজট অনেকটা কমেছে। অটোরিকশা চালক জাহাঙ্গির আলম বলেন, কক্সবাজার থেকে কুতুপালং রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে এসেছি। আবার কক্সবাজার যাওয়ার জন্যে দুই জন যাত্রি কুতুপালং ষ্ঠেশন থেকে নেওয়াতে লাইনম্যান নামের এক জন এসে ১০ টাকা নিলেন। উখিয়া ষ্টেশন থেকে আরো দুজন যাত্রী নেওয়া মাত্রই উখিয়ার লাইনম্যান নিলেন ১০ টাকা। কোটবাজার ষ্টেশনে এক যাত্রী নেমে গেলেন। ওই ষ্ঠেশনের লাইনম্যান নিলেন ১০ টাকা। মরিচ্যা ষ্ঠেশনে দাঁড়ানো মাত্রই আরেক লাইনম্যান নিলেন ১০ টাকা। কোনমতে লিংকরোড পৌঁছলাম। সামনে ট্রাফিক পুলিশ এসে ১০০ টাকা নিয়ে গেলেন এভাবে প্রতি ষ্ঠেশনে চাঁদা দিতে দিতে আমরা কাহিল হয়ে পড়েছি। এগুলো আসলে দেখার কেউ নেই। লাইনম্যান নাম দিয়ে রাস্তায় লাঠি হাতে গাড়িতে আঘাত করে প্রকাশ্যে চাঁদা নিচ্ছে। আর পুলিশ তো আছেই। আমরা চালকেরা নানান অনিয়ম সহ্য করে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছি সংসার চালাতে হয় বলে। আমাদের কষ্টের কোন শেষ নেই। সাধারণ যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে চান। অতিরিক্ত অবৈধ অটোরিকশা ও টমটমের কারণে বৈধ অটোরিকশা চালকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। কুতুপালং এলাকার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন বলেন, এখানকার অধিকাংশ টমটম চালক মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা। কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অনেক রোহিঙ্গা স্থানীয়দের ম্যানেজ করে তাদের নামে অটোরিকশা ক্রয় করে রোহিঙ্গারা নিজেরাই সেই অটোরিকশা চালাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গারা এখানে বসবাস করায় স্থানীয়দের সাথে তাদের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেন-দেন রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


পেইজ