বাবা আমার হেডম্যান’ নোটেনশন বলে অহংকারী ভাষা ব্যবহার করে হুংকার দিয়ে যাচ্ছে দোছড়ি বনবিটের দায়িত্ব প্রাপ্ত হেডম্যান মোহাম্মদের ছেলে এলাকার চিহ্নিত পাহাড় কাটা সিন্ডিকেটের অন্যতম গডফাদার তাহের।
পাহাড় কেখো তাহের আরো বলেন, বাবা আমার যুগযুগ ধরে বন বিভাগের হেডম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাবার সাথে উখিয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা – কর্মচারী, কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চট্রগ্রামস্থ সিএফ পর্যন্ত সর্ম্পক।
তাই উখিয়ার বন বিভাগ আমি তাহেরের সিন্ডিকেটের দিকে থাকাইনা। শুধু তাই নয়, আমি ও আমার সিন্ডিকেটের লোকজন একটি, দুটি পাহাড় না হাজারো পাহাড়ও যদি কেটে শেষ করে ফেলেলও উখিয়ার বন বিভাগের করার কিছুই নেই। কারন বাবার হাত অনেক লম্বাতো তাই বন বিভাগ আমাদেরকে ভয় পায়।
সূত্রমতে, হরিণমারা এলাকার বদি আলম প্রকাশ সাদু বদি আলম, সালাহ উদ্দিন হরিণমারা গ্রামের ছৈয়দ নুরের ছেলে আবুল কালাম, মধ্যম রাজাপালং এর জামাই আব্দুর রশিদ তার চেইন অব কমান্ড হেডম্যান মোহাম্মদের ছেলে শীর্ষ পাহাড় কেখো আবু তাহের, নুর আহম্মদ প্রকাশ খুইল্যার ছেলে সাহাব উদ্দিন, হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে বাবু ও নুরুল আলম প্রকাশ নুইজ্যার ছেলে হেলালসহ ১০/১৫ জনের একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট সরকারি বনভুমির পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে নির্বিঘ্নে মাটি পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনভুমির পাহাড়কে ধ্বংসযজ্ঞে পরিনত করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে আরো জানা গেছে, উল্লেখিত সিন্ডিকেটের গডফাদাররা লাল গাড়ি, সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার, ডজনখানিক মোটর সাইকেল শোডাউনের মধ্যে দিয়ে রেঞ্জের বন কর্মকর্তা ও বনকর্মীদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নির্বিচারে বনভুমির পাহাড়ের উপর চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড়যজ্ঞ।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলেন, অচিরেই তাহের সিন্ডিকেটের মতো পাহাড় ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকারি বনভুমির পাহাড়ের কোন প্রকার চিহ্নও থাকবেনা। তাই পাহাড় কাটার সাথে ব্যবহ্নত ডাম্পার গাড়ী ও বন কর্মকর্তাদের পাহারার দায়িত্বে থাকা গাড়ি গুলো জব্দ করার পাশাপাশি কঠিন শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা না হলে এলাকার বনও পরিবেশের উপর চরম বিপর্যয় দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে উখিয়া রেঞ্জের সুদক্ষ রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মু: শফিউল আলম বলেন, উখিয়ার প্রত্যকটি প্রবেশ পথে পাহাড় কেখো সিন্ডিকেটের লোকজন আমাদেরকে পাহারা দিয়ে থাকে বলে শুনেছি, তবে পাহারাদার বলেন আর পাহাড় কেখো বলেন আমার হাত থেকে কেউ রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই। পাহাড় কেখোদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।