উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
উখিয়া সমুদ্র উপকুল ও তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সমভুমি ও পাহাড় কুড়েঁ পাথর উত্তোলণ অব্যাহত রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইনানী বিট কর্মকর্তা জাকের হোসেন ও ছোয়াংখালী বিট কর্মকর্তা কেরামত আলীকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে এ পাথর উত্তোলন কাজ চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী চক্র। উত্তোলিত এসব পাথর ইনানী উপকূলে সরকারী-বেসরকারী ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা নির্মাণ কাজে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে মেরিন ড্রাইভ সড়ক এবং ইনানী পর্যটন স্পট ধ্বংসের কবলে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি সরজমিন দেখা গেছে, উখিয়ার সমুদ্র উপকূলীয় তীরবর্তী ইনানী, মোঃ শফির বিল, পাটোয়ারটেক, রূপপতি, মাদারবনিয়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র পাহাড়, ফসলী সমভূমি কুঁেড়, পাহাড়ী ছড়া থেকে নির্বিচারে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। প্রভাবশালী চক্র স্থানীয় দরিদ্র লোকজন ও অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দিয়ে সাগর, সমভূমি ও পাহাড় কুঁেড় অবাধে পাথর উত্তোলন করে স্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের নিকট বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছে। উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাটোয়ারটেক গ্রামের চিহ্নিত পাথর কেখো ছৈয়দ আলমের ছেলে আব্দুস ছালাম, জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আমিন ও ইনানী চারা বটতলী এলাকার ও ইনানী স্কুল সংলগ্ন দোকান ব্যবসায়ী চেহের আলীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জন দিন মজুর ও রোহিঙ্গা মহিলাদের দিয়ে দিবা-রাত্রি ভাটার সময় অবাধে পাথর উত্তোলন করে থাকে। ইনানী বন রেঞ্জের কয়েকশ গজের ব্যবধানে এ ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করায় সমুদ্রের জোয়ারের তোড়ে ইনানী খাল, সমুদ্র তীর ও বিস্তীর্ণ জনপথ ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশংকা থাকলেও স্থানীয় বন বিভাগ এসব দেখলেও না দেখার ভান করে ফায়দা লুঠে নিচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। একই ভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইনানী বন রেঞ্জের চোয়াংখালী উপকূল রূপপতির পাহাড়ী ছড়া ও পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা এসব পাথর উত্তোলন পূর্বক স্থানীয় বিভিন্ন লোকের বসত ভিটার উঠানে, সোনার পাড়া-মনখালী এলজিইডি সড়কের পাশে প্রকাশ্যে ভেঙ্গে খোয়া করে বানিজ্যিক ভাবে বেচা-বিক্রি করছে। প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে এর ফলে মেরিন ড্রাইভ সড়ক এবং ইনানী পর্যটন স্পট ধ্বংসের কবলে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ইনানী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন পাথর উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন এবং বিট কর্মকর্তারা টাকা নিলেও নিতে পারে সেটা আমি সঠিক জানিনা। তবে বিষয়টি তদন্ত করে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।