উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী তাজনিমারখোলা রোহিঙ্গা বস্তি এলাকায় ইয়াবা সেবনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে রক্তক্ষয় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোর ৩ টার দিকে।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী তাজনিমারখোলা রোহিঙ্গা বস্তি সংলগ্ন ফকির আহম্মদের চাষাবাদের জমিতে বুধবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ৪ জন রোহিঙ্গা যুবক ইয়াবা সেবনকালে পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে একই এলাকার ফকির আহম্মদ, মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র আব্দুস ছালাম ও স্ত্রী আমেনা খাতুন বাড়ী যাওয়ার পথে বাধাপ্রধান করিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত মাদক সেবী রোহিঙ্গা যুবকরা উল্লেখিতদের হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। উক্ত হামলার ঘটনা রোহিঙ্গা বস্তি ও এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ফের স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাজনিমারখোলা ক্যাম্প পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টাকালে সন্ত্রাসীরা পুলিশের একটি শর্টগ্যান ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে ৪ পুলিশ সদস্যকে গুরুতর আহত করেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মোঃ ইলিয়াছ হোসেন, শাওন আহম্মদ, ইমন কবির ও ইয়াছিন খান। উক্ত ঘটনায় উখিয়া থানা পুলিশের এস আই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং – ৩, তারিখঃ ২/৫/২০১৮ইং। চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবসমাজের কর্মসংস্থান, এনজিও সংস্থার কথিপয় কর্মকর্তাদের ইন্ধনে সরকারি বন ভুমির পাহাড় কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ও এনজিও সংস্থার কথিপয় কর্মকর্তাদের ইশারায় পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে আমাকে মামলার আসামী করেছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) চাইলাউ মার্মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে বলে তিনি জানান।