উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন সোমবার। তার এ ঐতিহাসিক সফরকে কেন্দ্র করে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। নিরাপত্তা বেষ্টনিতে রাখা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প। সড়ক পথে যানযট নিরসনে পুলিশ রোববার সকাল থেকে এলোমেলো যানবাহন চলাচলের উপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। কক্সবাজার থেকে উখিয়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়ন করা হয়েছে ব্যাটলিয়ন পুলিশ। গোয়েন্দ নজরধারীতে রয়েছে উখিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়েরের সাথে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ৪৮ ঘন্টার সফরে শনিবার দিবাগত রাত ২ টার সময় ঢাকায় এসে পৌছলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এর আগে ঢাকায় এসে পৌছান অ্যান্তোনিও গুতেরেস সফর সঙ্গী বিশ^ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। উখিয়া উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ একরামুল হক ছিদ্দিক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকাল ১১ টা ৩৫ মিনিটে প্রতিনিধি দল উখিয়ার কুতুপালং শরাণার্থী ক্যাম্পের ট্রানজিট পয়েন্ট ডি- ৪ ব্লকের মধুর ছড়া ষ্টেনশন ক্যাম্প, মধুর ছড়া নারী বান্ধব কেন্দ্র আইএমও হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। এসময় প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গাদের থাকা খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা পর্যবেক্ষন করবেন এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সাথে তিনি কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগের খোজ খবর নেবেন। দুপুর আড়াইটার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পের টাই অফিস এলাকায় সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করার কথা রয়েছে ওই দিন সন্ধায় জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হবেন।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থার প্রধান হিসাবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফর করেছিলেন। যে কারনে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি তিনি আগে থেকেই অবহিত। তার আগমনে রোহিঙ্গাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার আশার আলো। রোহিঙ্গা নেতা ডাঃ জাফর আলম ও বালুখালী ক্যাম্পের হেডমাঝি আবু তাহের জানান, জাতিসংঘের মহাসচিবের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরির্দশনের ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।