উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের দিয়ে সরকারি বন ভুমির পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে। কম পক্ষে ছোট বড় অর্ধশতাধিক পাহাড় কেটে নেড়া ভুমিতে পরিনত করেছে এনজিওরা। এক সময়ে উখিয়ার সবুজ বেষ্টুনি পাহাড় এখন বলতে গেলে আর নেই। এনজিওরা রোহিঙ্গাদের মানবতার সেবার নামে কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, উখিয়ার ঘাট, বালুখালী, থাইংখালী, তাজনিমারখোলা, সফিউল্লাহ কাটা ও ময়নারঘোনাসহ এনজিওরা পাহাড় কেটে সমতল ভুমিতে পরিনত করে ওই খানে স্থাপনা নির্মান করছে।
২৫ আগষ্টের পর থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হলে পালিয়ে এসে উখিয়ার ২০টি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পাহাড় ধ্বসের ঝুকিতে বসবাস করছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত গাছ চাপা পড়ে একজন রোহিঙ্গাসহ ৩ জন রোহিঙ্গা পাহাড় ধ্বসে মারা গেছে। শরণার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মানবতার নামে এনজিওরা পাহাড় কর্তন করলেও সরকারি ভাবে কোন বিধিবিধান তারা মানছেনা। নির্বিচারে পাহাড় কর্তন করে এনজিওরা তাদের স্থাপনা নির্মান করায় নেড়া ভুমিতে পরিনত হয়েছে এক সময়ের সবুজ বেষ্টুনি পাহাড়। এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী তরিকুর রহমান জানান, এনজিওরা পাহাড় কাটলেও আমাদের করার কিছুই নেই। তবে এব্যাপারে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইউএন এইচসিয়ারের অর্থায়নে এনজিও সংস্থা মুক্তি, ওয়াল্ডভিশন, আইএমও, ডাব্লিওপি পাহাড় কেটে সাবাড় করলেও করার কিছু নেই। তিনি বলেন, প্রায় ৫০টিরমত এনজিওরা পাহাড় কেটেছে। ওই খানে স্থাপনা নির্মান করেছে। ওইসব এনজিওরা কারো বাধা নিষেধ মানেনা। তাদের বাধা দিলে উল্টো আরো হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। এনজিওদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানোর জন্য চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে উখিয়ার ঘাট বালুখালী এলাকায় শতশত রোহিঙ্গা দিয়ে পাহাড় কাটছে এনজিও সংস্থা ওয়াল্ডভিশন বলে নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা মাঝি কলিমুল্লাহ। তারা বলেন, এনজিওরা আমাদেরকে দৈনিক মুজরি হিসাবে ৫শ টাকা দিয়ে থাকেন। এব্যাপারে দক্ষিন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আলী কবির জানান, এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটলেও আমার করার কিছু নেই।