শাকুর মাহমুদ চৌধুরী উখিয়া ::
চিংড়ী পোনা আহরনের নামে উখিয়ার সাগর উপক’লীয় এলাকায় অভিরব কায়দায় বসানো হয়েছে বাঁশের খুটি পুতে মশারির নেট। গভীর সাগরেও জেলেরা মাছ ধরার জন্য ব্যবহার করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল। এই জালে আটকা পড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ নিধনের পাশাপাশি পোনা শিকারীর পাতানো জালে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। ফলে সাগরের বড় জাতীয় মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদী সচেতন মহল। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন তারা কারেন্ট জাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের উপক’লীয় এলাকা সোনার পাড়া, ইনানী, ঘাটঘর, নিদানিয়া, পাঠোয়ার টেক, বাইলাখালী, ছেপটখালী, মাদারবনিয়া ও মনখালী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফিসিংবোট থেকে কারেন্ট জালে আটকাপড়া মাছ নামিয়ে জেলেরা পৃথকী করনের কাজে ব্যস্থ। এসময় জেলেরা সংবাদ কর্মী দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও সাহস হারায়নি। তারা দোষ চাপাতে অকপটে শিকার করলেন কারেন্ট জাল দিয়ে সাগর থেকে মাছ আহরন ভাবত প্রতি মাসে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীকে টাকা দিতে হয়। ফিসিংবোটের মাঝি আশরাফ আলী জানান, গভীর সাগরেও এখন বড় মাছ মিলছেনা। তাই পরিবার পরিজনের জীবন বাচাঁতে বাধ্য হয়ে কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট মাছ ধরতে হচ্ছে। সে জানায় এ মাছ প্রতিমন ১৪শ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। যা দিয়ে জেলেদের খরচও পোষাবেনা।
এভাবে সোনার পাড়া থেকে মনখালী পর্যন্ত প্রায় ৫শতাধিক ফিসিংবোটে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
এদিকে সাগর উপক’লীয় এলাকায় প্রতিষ্টিত প্রায় অর্ধশতাধিক হ্যাচারী শিল্প প্রতিষ্টান চিংড়ী পোনা আহরনের জন্য সাগর নির্ভর হয়ে পড়েছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী যুব ও শিক্ষক আদনান অভিযোগ করে জানান, হ্যাচারী শিল্প মালিকেরা পোনা সংগ্রহের জন্য আগাম দাদনের টাকা দিয়ে সাগর উপক’লীয় এলাকার লোকজনকে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা উপক’লের চর এলাকায় মশারির নেট বসিয়ে জোওয়ার ভাটার জন্য চর এলাকায় উৎপেতে বসে থাকে। জোওয়ার ভাটা গেলে মশারির জালে আটকাপড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা গুলো ফেলে দিয়ে শুধু মাত্র চিংড়ী পোনা গুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। এভাবে পোনা ধ্বংসের ফলে সাগরে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে বলে জেলেদেও মূখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। কারেন্ট জাল ব্যবহারের নেপথ্যে টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ এস আই আনিছুর রহমান। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ এরশাদ বীন শাহিন বলেন, তারা বিভিন্ন সময়ে সাগর উপক’লে অভিযান চালিয়ে ২৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে পেলেছে।