উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
উখিয়া – টেকনাফে আশ্রীত রোহিঙ্গা ও রোহিঙ্গাদের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় হতদরিদ্রদের মাঝে কোরবানির মাংস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবারের কোরবানির পশুর বাজারে রোহিঙ্গাদের প্রভাব পড়েছে। পশু সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে প্রতিবছর উখিয়ায় ১৫ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার, দেশি বিদেশী দাতা গোষ্টী ও এনজিও সংস্থা গুলো কোরবানির মাংস সরবরাহের জন্য পশু ক্রয় করার কারনে মাজারি সাইজের পশুর দাম একটু বেড়েছে দাবী করে ব্যবসায়ীরা বলছে বড় সাইজের গরুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা বলছে রোহিঙ্গাদের মাংস সরবরাহ করলেও পশুর কোন সংকট হবেনা। উপরন্ত বিপুল চাহিদার কারনে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে পশু উৎপাদনে স্থানীয়রা আরো উৎসাহিত হবে।
জাতি সংঘের তথ্য অনুযায়ী উখিয়া -টেকনাফে আশ্রীত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭জন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা ও রোহিঙ্গার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭/৮শ পরিবারের মধ্যে পরিবার পিছু ৫ কেজি করে মাংস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ২শতাধিক গরু এনজিওরা ক্রয় করে তাকে অবহিত করেছে। বাদবাকি গরু গুলো বিভিন্ন হাটবাজার থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের মাঝে সুষ্ট ভাবে গরুর মাংস বিতরনের জন্য উখিয়া – টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ৩০ জন ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধিরা সার্বক্ষনিক দায়িত্বপালন করবে। রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ১২ হাজার গরু ক্রয় করা হলে উখিয়ায় পশু সংকটের কোন সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ সাহাব উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে উখিয়ার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে বানিজ্যিক ভাবে ও ছোট বড় ঘরে ঘরে গরুর খামার যে গরু লালন পালন করা হয়েছে এসব গরু বাজারে উঠবে। তাই এখানে গরু সংকটের কোন আসংখ্যা নেই। উপরন্ত বিপুল চাহিদার অজুহাতে খামারিরা লাভবান হলে বানিজ্যিক ভাবে পশু লালন পালনকারী খামারির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে বেকার সমস্যা সমাধান হবে।
গতকাল শনিবার উখিয়া গরুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, এনজিওরা মাজারি সাইজের গরু ক্রয় করছে বেশি। গরু ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ, শামশুল আলম ও ফজল করিম জানায়, এনজিওদের প্রভাবিত করে গুটি কয়েক দালাল চক্র গরু লেনদেন করার কারনে মাজারি সাইজের গরুর দাম বেড়েছে। তবে বড় সাইজের গরুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, গরুর বাজারে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।