উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী নুর আয়েশা (২৭) কে লম্পট দেবর মোঃ আলম (৩০) ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা পরকিয়ার অপবাদ দিয়ে ৩ অবুঝ সন্তানের সামনে সুপারী গাছের সাথে বেধেঁ রাতভর অমানষিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেছে। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১৬ আগষ্ট এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাটোয়াটেক গ্রামে। এব্যাপারে নুর আয়েশার ভাই আবুল শমা বাদী হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ১৯ আগষ্ট একটি মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুর আয়েশার স্বামী বদি আলম মালেশিয়ায় অবস্থান করে আসছিল দীর্ঘ দিন থেকে। তার অনুপস্থিতির সুযোগে নুর আয়েশার দেবর হামিদুর রহমানের ছেলে মোঃ আলম (৩০) নুর আয়েশাকে নিয়মিত উত্তক্ত করে আসছিল। ৩ সন্তানের ভবিষ্যত ছিন্তা করে নুর আয়েশা চোখ বুঝে তা সহ্য করে আসলেও নিজের ও পরিবারের দুর্নামের কথা চিন্তা করে এঘটনা কাউকে কোন দিন প্রকাশ করেনি। গত ১৬ আগষ্ট রাত ১১ টার দিকে লম্পট দেবর মোঃ আলম নুর আয়েশার শয়ন কক্ষে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করলে নুর আয়েশা বাধাদে। এসময় দুইজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নুর আয়েশা চিৎকার দিলে তার ঘুমন্ত ৩ শিশু কেঁেদ উঠে মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। শোর চিৎকার শোনে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে লম্পট মোঃ আলম পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর মোঃ আলম তার দুই সহোদও মোঃ করিম, ইসহাক আহম্মদ ও তার চাচাত ভাইসহ ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত নিজের অপকর্ম ঠেকাতে নুর আয়েশাকে পরকিয়া প্রেমের অজুহাত তোলে ঘর থেকে টেনেহিছড়ে বের করে। এক পর্যায়ে নুর আয়েশাকে সুপারী গাছের সাথে বেঁধে রাতভর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আশে পাশের লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ খাইরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তিনি গতকাল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জেনেছেন নুর আয়েশাকে মারধর করা হয়েছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, বিষয়টি তাদের পারিবারিক ব্যাপার। একটি পক্ষ ঘটনাটিকে ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করছে।