উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ার উপকুলীয় সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার পোনা নিধনকারী নামে পরিচিত ফজল কাদের সময়ের ব্যবধানে আজ কোটিপতি।
জানা গেছে, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে ফজল কাদের ছোট বেলা থেকে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় মশরী জাল দিয়ে পোনা আহরনের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েন পোনা ব্যবসায়। পোনা ব্যবসায়ীদের সাথে সিন্ডিকেট গড়ে তোলে সোনার পাড়া ও টেকনাফের পোনা নিধন কারীদের নিকট থেকে পোনা সংগ্রহ করে সাতক্ষিরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পোনা পাচার করার পাশাপাশি টেকনাফের এক ইয়াবা মেম্বারের সাথে গড়ে তোলে গভীর সম্পর্ক।
স্থানীয় আশরাফ আলী জানান, ফজল কাদের টেকনাফের এক মেম্বারের হাত ধরে সোনার পাড়া উপকুলীয় অঞ্চলে গড়ে তোলে একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাড়িহাড়ি ইয়াবা পাচার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়ে বনে জান শূণ্যে থেকে কোটিপতি। পরবর্তীতে উক্ত কথিত মেম্বারের মেয়েকে বিয়ে করে বলেও জানা যায়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, ফজল কাদের নির্ভিঘ্নে ইয়াবা পাচারের জন্য সুকৌশলে যোগদেন যুবলীগের রাজনীতিতে। কালো টাকার ছড়াছড়ির মাধ্যমে বনে যান ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সে ইয়াবার কালো টাকার পাহাড় দিয়ে সোনার পাড়া বাজারের একাধিক মার্কেট, ব্যাংক শেয়ার হোল্ডার, ঢাকা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরে অঢল সম্পদ ক্রয় করার পাশাপাশি ভারতে আলিশান স্বর্ণকমল ক্রয় করলেও দেখার কেই নেই। ৩০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে র্যাব ৭ কক্সবাজার ও রেজু বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩৯ হাজার পিস ইয়াবাসহ পাচারকারী নুরার ডেইল গ্রামের ছৈয়দ হোছনের ছেলে আহম্মদ শরিফকে আটক করতে সক্ষম হলেও উক্ত ইয়াবার সাথে জড়িত গডফাদার যুবলীগ নেতা ফজল কাদেও গ্রেপ্তারের কবল থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। উক্ত ঘটনায় ফজল কাদেরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে রামু থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং ২, তারিখঃ ১/১০/২০১৮ইং। উক্ত মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা ও আন্ডার ওয়াল্ড ইয়াবা মাফিয়া ফজল কাদের গ্রেপ্তার এড়াতে ভারত পালিয়েছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে ওসি রামু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।