রফিক উদ্দিন বাবুল উখিয়া ::
উখিয়ার সীমান্ত এলাকা ভালুকিয়া ও খেওয়াছুড়িতে মিয়ানমারের চোরাই গরু নিয়ে তোলপাড় চলছে। তবে এ নিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর কেউ মূখ খোলছেনা বিধায় চোরাই গরুর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গরু চোরের বিষয়টি সম্পর্কে তার জানা নেই বলে সাংবাদিক বলেছেন। তবে একই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন মিয়ানমার থেকে চুরি করে আনা গরুর বিষয় সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা দিলেও মূল তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী খেওয়াছুড়ি গ্রামের আশরাফ আলী জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে খেওয়াছুড়ি স্কুলের পাশে বেশ কিছু টি গরু দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বেপারী এসে গরু গুলো দরদাম করছে। এমন সময় উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে চত্রভঙ্গ হয়ে সবাই গা ঢাকা দেয়। সে জানান, থিমছুড়ি গ্রামের আব্দুল (৩০), ছৈয়দ কাশেম (৩৫), ভুলু (৩১) ও এখলাছ (৩৫) সহ ৫/৬ জন ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে গরু গুলো চুরি করে নিয়ে আসে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকার হালার ডেবা এলাকার সাবেক হুক্কাট্টার (চেয়ারম্যান) রিদুইয়া চাকমার ছেলে অংচ চাকমার গৃহ পালিত গরু। মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা এসব চোরাই গরু নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি বড়ইতলীর চকিদার রুপন বড়–য়া জানান, গরুর মালিক অংচ চাকমা বিজিপির অনুমতি পত্র নিয়ে এপারে এসে বড়ইতলী বাজারে গরু উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমন চৌধুরী জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ এখনো অভিযোগ করেননি।