উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
খাল, নদী, পাহাড় ও উর্বর কৃষিজমি বেষ্টিত উখিয়ায় পাহাড় কেটে প্রকৃতি ধ্বংসের লীলা খেলা কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্টীর মানবিক সেবায় নিয়োজিত এনজিও সংস্থার বিশাল চাহিদাকে পুজি করে এলাকার এক শ্রেনীর পেশাদার পাহাড় খেকোর দল নির্বিচারে পাহাড়ের মাটি পাচার করে কাড়িকাড়ি টাকা আদায় করছে। ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি, জীব বৈচিত্র, পশুপ্রানী ও পরিবেশ।
২৫ আগষ্টের পরে মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন ও পালংখালী ইউনিয়নের ৫ হাজার একর বনভুমিতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিট কর্মকর্তারা পাহাড় কেখোদের সাথে আতাঁত করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কিন্তু দেখার কেউ নেই। প্রধানমন্ত্রীর মানবিক দিকনির্দেশনায় আশ্রিত এসব রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় এগিয়ে আসে প্রায় ২ শতাধিক এনজিও। তাদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল নির্মানের জন্য প্রয়োজনের তাগিদে কিছু কিছু পাহাড় কেটে সমতল করা হয়েছিল। এসুযোগের সৎ ব্যবহার করে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কেটে মাটি পাচার শুরু করে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল রাজাপালং বনবিটের হরিণমারা বাগানের পাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২০/২৫ জন শ্রমিক পাহাড় কেটে গাড়ীতে মাটি ভর্তী করছে। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক দেখে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। জানতে চাওয়া হলে অজিউল্লাহ (৪০), ছালামত উল্লাহ (৩৫), নুর মোহাম্মদসহ আরো বেশ কয়েকজন জানান, তারা আলী আহম্মদের ছেলে বদি আলম প্রকাশ জামবদু, মৃত ছৈয়দ আকবরের ছেলে ছৈয়দ করিম, মৃত আবুল শমার ছেলে কবির আহম্মদের নির্দেশে পাহাড় কাটার কাজ করছে। তারা আরো জানান, উল্লেখিত পাহাড় কেখোদের সাথে রাজাপালং বিট কর্মকর্তা আমির হোসেন গজনবীর দৈনিক লেনদেন হওয়ার কারনে প্রকাশ্যে দিবালোকে বন ভুমির পাহাড় কাটারমত জঘন্য অপরাধ প্রবনতা চলছে। বিট কর্মকর্তা আমির হোসেন গজনী পাহাড় কাটার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।