উখিয়া ক্রাইম নিউজ ডেস্ক::
উখিয়ার কুতুপালংয়ে দিনে- দুপুরে বসতবাড়ীতে হামলা, লুটপাট, ভাংচুরের ঘটনা নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২২ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ টার দিকে উক্ত হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
সরজমিন, ঘটনাস্থল ঘুরে ও এলাকার বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ রোহিঙ্গা আগমনকে কেন্দ্র করে জায়গা – জমির মুল্যে আকাশ ছোঁয়া বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতি আশংকা দেখা দিয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনও হিমশিম খাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায়, উখিয়ার দারোগা বাজার সংলগ্ন এলাকার রাম হরি নাথের ছেলে আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকা সন্ত্রাসী ও এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু রাখাল নাথ এর নেতৃত্বে রিটন ধর, পাভেল নাথ, প্রদীপ বড়ুয়া, স্বপ্না বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া ও টিটু বড়ুয়াসহ ভুমিদস্যুরা বেশ কিছু দিন আগে থেকে কুতুপালং পিএফ পাড়াস্থ এলাকার রনি বড়ুয়া ও তার স্ত্রী কাজলী দাসের বসতভিটাটি জোর করে দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২২ ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ টার দিকে ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা রনি চৌধুরী ও স্ত্রী কাজলী রানী দাসের বসতভিটায় তান্ডব চালিয়ে গাছপালা কেটে তছনছ করে মালামাল লুঠ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ সময় তাদের হামলায় নারী ও শিশুসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
ভুক্তভোগী কাজলী রানির ভাই মৃদল কান্তি নাথ বলেন, উখিয়া বাজারের সন্ত্রাসী রাখাল নাথ তার অস্ত্রধারীদের নিয়ে আমার বোন কাজলী দাসের বসতভিটা জবরদখল করতে গেলে। এ সময় কাজলী ও তার স্বামী চাকুরি ও বাসার কাজে বাইরে ছিল। সন্ত্রাসীরা কাজলীর বসতভিটা ভাংচুর করে পানির মোটর, গাছপালা কেটে, বসতভিটার ঘেরাবেড়া কেটে নিয়ে যায়।
এ সময় কাজলীর ঘরে থাকা আমার স্ত্রী নমিতা দাস, ৯ বছরের শিশু জিসান নাথ ও ভাগনি ডলি নাথ (১৬) কে মারধর করে গুরুতর আহত করে ঘরের মধ্যে আটকিংয়ে রাখে।
কাজলী দাস বলেন, আমি এনজিওতে চাকুরি করি। আমার স্বামী ব্যবসায়ী। উখিয়া থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে বেশ কিছু দিন ধরে রাখাল নাথ আমাদেরকে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাওয়ার জন্য হত্যার ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তার অব্যাহত হুমকির মধ্যে এলাকা ছাড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তাই আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে ৭ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারনে ৭ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায়, সন্ত্রাসীরা দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, অসহায়দের বিচার এদেশে নেই। যদি আজকে আমার কাছে টাকা থাকতো তা হলে আমার বসতভিটায় দিনে – দুপুরে প্রকাশ্যে তান্ডবের বিচার অনেক আগে হত।
উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সন্জুর মোরশেদ, প্রতিনিয়ত কত ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি আমার মনে পড়ছে না, মনে পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।